ঝিট্কা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হরিরামপুর উপজেলা তথা মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা কেন্দ্র। বাংলাদেশে যখন ছেলেদের সাথে সমান তালে তাল মিলিয়ে শিক্ষিতের হার, শিক্ষার মান সকল দিক দিয়েই মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বৃহত্তর ঝিট্কা অঞ্চলে তার সফলতার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। ঝিট্কা অঞ্চলের বাসুদেবপুর গ্রামে ১৯৬৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ সময়ের কিছু শিক্ষা উদ্যমী মানুষ তাদের অক্লান্ত চেষ্টা ও পরিশ্রমে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
ঝিট্কা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হরিরামপুর উপজেলা তথা মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা কেন্দ্র। বাংলাদেশে যখন ছেলেদের সাথে সমান তালে তাল মিলিয়ে শিক্ষিতের হার, শিক্ষার মান সকল দিক দিয়েই মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বৃহত্তর ঝিট্কা অঞ্চলে তার সফলতার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। ঝিট্কা অঞ্চলের বাসুদেবপুর গ্রামে ১৯৬৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ সময়ের কিছু শিক্ষা উদ্যমী মানুষ তাদের অক্লান্ত চেষ্টা ও পরিশ্রমে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। যে সকল শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত ছিলেন তাদের মধ্যে মরহুম আব্দুর রফিক চৌধুরী, খাজা মোঃ রহমত আলী (আল্ চিশ্তী), স্বর্গীয় বাবু তড়িৎ ধর প্রমুখ নাম উল্লেখযোগ্য। রফিক উদ্দিন চৌধুরী এবং বাবু তড়িৎ ধর বহু পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেন। খাজা মোঃ রহমত আলী স্রষ্টার অসীম কৃপায় এখনও এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে পরিপূর্ণ রূপে আত্মপ্রকাশ করা পর্যন্ত যার বিশেষ অবদান রয়েছে তিনি হলেন খাজা মোঃ রহমত আলী (আল্ চিশ্তী)। তিনি দীর্ঘ সময় এ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সেক্রেটারী ছিলেন (তখন পরিচালনা পরিষদের প্রধান ছিলেন সেক্রেটারী)। তাহার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অর্থায়নে অত্র বিদ্যালয়ের পাশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঝিট্কা খাজা রহমত আলী ডিগ্রী কলেজ।
ঝিট্কা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালের জানুয়ারী মাসের এক তারিখে স্বীকৃতি লাভ করে এবং এম.পি.ও ভূক্ত হয় ১৯৮৪ সালে। ১৯৭০ সাল হতে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মধ্যবর্তী ১৪টি বৎসর বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বিনা বেতনে অথবা সামান্য বেতনে ছাত্রীদের পাঠদান করে গেছেন। সে সকল শিক্ষকরা আজ অনেকেই জীবিত নেই। এ বিদ্যালয় তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। ১৯৭৩ সনে বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান বিভাগ খোলা হয় এবং ১৯৮০ সনে বিদ্যালয়টি পাইলট স্কীমের অন্তর্ভূক্ত হয়। সারা দেশে যেভাবে শিক্ষার গুণগতমান উন্নত হয়েছে কৌশলগত শিক্ষা, অর্থনীতি ভিত্তিক শিক্ষা এবং জীবন ভিত্তিক শিক্ষা যেভাবে উৎকর্ষ লাভ করেছে তার সাথে তাল মিলিয়ে এ প্রতিষ্ঠানে চালু করা হয়েছে কম্পিউটার শিক্ষা এবং বিজ্ঞান শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। প্রতি বৎসর এ প্রতিষ্ঠান থেকে জে,এস,সি, এবং এস,এস,সি, পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করছে এবং G.P.A-5 সহ ছাত্রীরা বৃত্তি পাচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে সরকারী বিধি মোতাবেক উপবৃত্তি কার্যক্রম সফলতার সাথে চালু রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রীরা উপকৃত হচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে সকল জাতীয় পর্ব সম্মানের সাথে পালন করা হয়। বাৎসরিক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সহ শিক্ষা কার্যক্রম যেমন ক্রীড়ানুষ্ঠান, মিলাদ মাহ্ফিল, সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, সরস্বতী পূজা ইত্যাদি পর্বগুলি নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়টিতে শুরু থেকে এ পর্যন্ত যে সকল ব্যক্তি পরিচালনা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে এম.এন.এ আখতার উদ্দিন বিশ্বাস, খাজা মোঃ রহমত আলী আল্ চিশ্তী, ডাঃ লুৎফর রহমান বিশ্বাস, সৈয়দ সামসুল খাল্ক এবং ডাঃ আব্দুল্লাহ্ আল্ মামুনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিদ্যালয়টিতে শুরু থেকে এ পর্যন্ত যে সকল ব্যক্তি অত্যন্ত সফলতার সংগে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে শ্রীমতি দীপালি চক্রবর্তী, হোসনেআরা মোকিম এবং সুরাইয়া বেগম যিনি বর্তমানে কর্মরত আছেন।
এখানে প্রায় ১৫০০ ছাত্রী নিয়মিত অধ্যয়ণ করে। এখানে ১ম পিরিয়ড থেকে ৮ম পিরিয়ড পর্যন্ত নিয়মিত পাঠদানের চেষ্টা করা হয়। বিদ্যালয়টিতে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে যেখানে যথেষ্ট সংখ্যক পুস্তক আছে। একজন সহকারী গ্রন্থাগারিক আছে, শিক্ষক এবং ছাত্রীরা গ্রন্থাগার থেকে নিয়মিত বই নিয়ে পড়াশুনা করে। গ্রন্থাগারে বসেও পড়াশুনার সুযোগ রয়েছে। এখানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কার্যক্রম চালু আছে। বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক চর্চায় জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে।
Image | Name | Mobile |
---|
১। ডাঃ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন (সভাপতি)
২। বাবু শ্যামল কুমার সরকার (শিক্ষক প্রতিনিধি)
৩। জনাব মোঃ মনোর উদ্দিন (শিক্ষক প্রতিনিধি)
৪। জনাব মেরিনা সুলতানা মনি (সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি)
৫। জনাব মোঃ ফজলুর রহমান (অভিভাবক সদস্য)
৬। জনাব নূরুল ইসলাম মোল্লা (অভিভাবক সদস্য)
৭। জনাব মোঃ মোরাদ মোল্লা (অভিভাবক সদস্য)
৮। জনাব গোলাম সারোয়ার (অভিভাবক সদস্য)
৯। জনাব পুতুল বেগম (সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য)
১০। জনাব ওবায়দুল হক বিল্টু (কো-অপ্ট সদস্য)
১১। প্রতিষ্ঠানা সদস্য-শূন্য
১২। সভাপতি-দাতা সদস্য
১৩। সদস্য সচিব-প্রধান শিক্ষক
প্রতি বৎসর জিপিএ 5.00 সহ পাশের হার সন্তোষজনক।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS